Friday, October 29, 2021

কম্পিউটার মনিটর কেনার আগে না জানা জরুরী

 

গেমিং মনিটর কি?

গেমিং মনিটর এর জন্য বলা যায় যে যত বড় মনিটর হবে তত ভালো হবে। গেমিং মনিটর কেনার সময় আরো খেয়াল রাখতে হবে রেজোলুশন, রিফ্রেশ রেট, এবং রেসপন্স টাইম, কারণ রেজোলুশন যত ভালো হবে তত ভাল রিয়েল ইমেজ পাওয়া যাবে।

১০৮০পি বা ৪কে - কোন রেজোলুশন কিনতে হবে?

১০৮০পি এবং ৪কে এর মধ্যে যেটা সবচাইতে ভালো সেটা হচ্ছে ৪কে। আপনি গেমস খেলতে চান বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ৪কে মনিটর কেনা উচিত কারণ ৪কে-তে আপনি একদম পরিষ্কার এবং আসল ছবির মত দেখতে পাবেন।

মনিটরের জন্য ভাল রিফ্রেশ রেট কী?

বেশির ভাগ মনিটরে ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থাকে এবং সব ধরনের কাজের জন্য যথেষ্ট। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ১২০ হার্জ, ১৪৪ হার্জ মনিটরও বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে যা গেমিং, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও সম্পাদনার জন্য ভাল কাজ করে।

মনিটরে আইপিএস প্রযুক্তি কী?

এলইডি মনিটরের আইপিএস টেকনোলজি হচ্ছে এক বিশেষ টেকনোলজি যার সাহায্যে আপনি পোর্ট্রেট রিয়েল টাইম ইমেজ, গ্রাফিক্স,কালার ইত্যাদি খুবই সুন্দর ভাবে পাবেন। লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লের তে এই প্রযুক্তি আগের সমস্ত প্রযুক্তির থেকে উন্নততর।

বর্ডারলেস মনিটর কী?

বর্ডারলেস মনিটর হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের মনিটর যেখানে মনিটর এর পাশে যে বর্ডার থাকে তা প্রায় অদৃশ্য থাকে। যার ফলে আপনি পুরো স্ক্রিন জুড়ে ছবি এবং ভিডিও দেখতে পারবেন এবং একদম তা রিয়েল লাইফে ইমেজের মতন বাস্তব মনে হবে। এটি দুর্দান্ত একটি প্রযুক্তি যা ভিডিও এবং ছবি কে মনিটর এ নতুন মাত্রা দিয়েছে।

সাব, ডি সাব, এইচডিএমআই - কোন সংযোগটি সেরা?

সাব, ডি সাব এবং এইচডিএমআই এর মধ্যে এইচডিএমআই প্রযুক্তির সবচাইতে ভালো এবং সবচাইতে নতুন। এ প্রযুক্তিটি যেরকম একইসাথে ভিডিও এবং অডিও শেয়ারিং সাপোর্ট করে পূর্বের প্রযুক্তি গুলো সাপোর্ট করেনা। যেমন ডি সাবে শুধু অডিও শেয়ার করা যায়।এইচডিএমাই এর প্রযুক্তি একদম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সবচেয়ে বেশি বর্তমানে এইচডিএমাই এর প্রযুক্তির  ব্যবহার হচ্ছে।

টিভি মনিটর কি?

টিভি মনিটর হল এক ধরনের মনিটর যার ভিতর টিভি কার্ড সংযুক্ত থাকে এবং ডিশ ক্যাবল সংযুক্ত করে টিভি দেখা যায়। টিভি মনিটর পিসির সাথে সংযুক্ত করে মনিটর হিসাবে সমস্ত কাজ করা যায়।

কোন মনিটর চোখের জন্য ভাল?

যে সকল মনিটর পরিষ্কার ছবি প্রদান করে তা চোখের জন্য ভাল। তবে ১০৮০পি বা ফুল এইচডি মনিটর দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য একটি ভাল পছন্দ কারণ আপনার চোখের উপর কম প্রভাব ফেলে। ৪কে মনিটর অন্য যে অবশ্যই আরও ভাল হবে যা ফুল এইচডি থেকে ৪এক্স গুণ স্পষ্ট চিত্র প্রদান করে।

Monday, May 25, 2020

বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট তৈরীর রেসিপি-০১

১. ঘি বিস্কুট
উপকরণ
১ কাপ এবং ১ টেবিল-চামচ ময়দা। আধা কাপ ঘি। ১ চিমটি লবণ। আধা কাপ আইসিং সুগার বা চিনির মিহিগুঁড়া।

পদ্ধতি
ইলেক্ট্রিক ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১০ মিনিট প্রি-হিট করুন।
প্রথমেই ঘি চুলায় দিয়ে গলিয়ে নিন। গরম করবেন না। এবার এর ভেতর আইসিং সুগার এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে আস্তে আস্তে ময়দা দিয়ে মাখান। খুব বেশি মাখানোর দরকার নেই। ময়দা ভালোভাবে মিশে গেলেই হবে।
এবার মাখানো ময়দা ২০ থেকে ২২ ভাগ করুন। প্রত্যেক ভাগ দিয়ে গোল চ্যাপ্টা বিস্কুট বানিয়ে নিন। বিস্কুট খুব বেশি মোটা করবেন না। মোটা করলে মাঝখানে কাঁচা থাকবে।
বেইকিং ট্রেতে তেল মাখিয়ে নিন। ফাঁকা ফাঁকা করে বিস্কুটগুলো বসিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেইক করুন।


বিস্কুটের চারদিকে বাদামি রং হলেই ওভেন থেকে বের করে নিন। এক ঘণ্টা পর বিস্কুট খাওয়ার উপযোগী হবে।

কিছু কথা
উপকরণ মাপার জন্য একই মাপের কাপ ব্যবহার করুন। বিস্কুট ওভেন থেকে বের করার পর নরম থাকে। এক ঘণ্টা ভালো মতো ঠাণ্ডা করলেই মচমচে হয়ে যায়।
ওভেন ভেদে বেইকিংয়ের সময় কম বা বেশি হতে পারে। সবচেয়ে সহজ উপায় হল ওভেনে দেওয়ার পর বারবার দেখা। খুব বেশি সময় বেইক করলে বিস্কুট খারাপ হবে। ঠাণ্ডা হলে বাতাস ঢুকতে পারে না এমন পাত্রে সংরক্ষণ করুন।


২. নোনতা বিস্কুট
উপকরণ
ময়দা আড়াই কাপ। চিনি আধা চা-চামচ। পানি ১ টেবিল-চামচ। বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ। লবণ ১ চা-চামচের চেয়ে সামান্য কম  বা হাফ চা চামচ। কালোজিরা ১ চা-চামচ। ঘি বা বাটার ১৫০ গ্রাম (তেলও দিতে পারেন ঘিয়ের বদলে)। এলাচগুঁড়া ১ চিমটি। তেল ১ চা-চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে ময়দা, কালোজিরা, লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন দুতিন সেকেন্ড। এবার এতে চিনি আর এলাচগুঁড়া মেশান।
আগে বলে নি , এখানে প্রতিটি উপকরণ আলাদা আলাদা করে মেশাতে হবে।
এবার বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। তারপর বাটার মেশান।
প্রথমে হাফ বাটার দিয়ে ব্লেন্ড করুন। হাত কাঠি বা স্পাচুলা দিয়ে মিক্সারটা নেড়ে দিন। এখন বাকি বাটার দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন ১ মিনিটের মতো।মিশ্রণটা হাতে নিয়ে দেখুন। যদি হাতে লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন তৈরি হয়ে গেছে বা খামিরটা পারফেক্ট। আর যদি দেখেন যে মিশ্রণটা পড়ে যাচ্ছে বা গুঁড়া গুঁড়া থেকে গেছে, তাহলে আরও ১ চা-চামচ তেল বা ঘি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন।
এখন ২০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রি-হিট করুন ওভেন। খামিরগুলো একটি বাটিতে ঢেলে নিন। তারপর ছোট বা মিডিয়াম গোল বল বানিয়ে নিন হাতে। একটু চেপ্টা করে দিন তারপর বেইকিং ট্রে’তে বেইকিং শিটের উপর একটু ফাঁক ফাঁক করে রাখুন।
একটি কাঁটাচামচ দিয়ে উপরে হালকা চাপ দিয়ে ডিজাইন করুন। এবার প্রি-হিটেট ওভেনে ১০ থেকে ১২ মিনিট বেইক করুন বা সোনালি রং আসা পর্যন্ত বেইক করুন।
হয়ে গেল নোনতা বিস্কুট ।

৩. বেলা বিস্কুট (চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বেলা বিস্কুট) 
উপকরণ: তরল দুধ আধা কাপ। মাখন ২ টেবিল-চামচ। চিনি ১/৩ কাপ। লবণ ১ চা-চামচ। ডিম ১টি। বেইকিং পাউডার আধা চা-চামচ। ইস্ট ১ চা-চামচ। ময়দা ২ কাপ। দারুচিনির গুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। মৌরি/মোটা জিরাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। চিকন জিরাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চিমটি। ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা-চামচ। ব্রাশ করে দেওয়ার জন্য গলানো মাখন আরও ২ টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি: দুধ হালকা গরম করে নিন। বেশি গরম করা যাবে না। একটু ঠাণ্ডা হলেই ইস্ট ও ৩ চা-চামচ চিনি দিয়ে মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। ইস্ট ফুলে যাবে।
বাকি উপকরণগুলো ময়দার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ইস্ট মেশানো দুধ, ময়দার মিশ্রণে দিয়ে দিন।
পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে ডো তৈরি করে একটা গরম জায়গায় দুই থেকে চার ঘণ্টা রেখে দিন। এসময়ের মধ্যে ডো ফুলে যাবে।
ওভেন ৩২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে প্রিহিট করুন।
একটা বেইকিং ট্রেতে এর অর্ধেক পানি নিয়ে ওভেনে দিয়ে রাখুন। এতে বিস্কুটটা সুন্দর হবে।
প্রায় চার ঘণ্টা পর ডোটা কিছু ময়দা দিয়ে মথে ছোট ছোট অনেকগুলো বলের আকারে ভাগ করে নিন।
যে ট্রেতে বেইক করবেন তাতে, অল্প অল্প দূরত্বে ছোট ছোট ডোগুলো বসিয়ে দিন।
অবশ্যই দূরত্ব বজায় রেখে বসাবেন। নইলে একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে যেতে পারে।
এবার একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে ডোগুলো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঢেকে রাখুন। আবারও ফুলে উঠবে।
৪০ মিনিট পর তোয়ালে উঠিয়ে গলানো মাখন ডোয়ের উপর ব্রাশ করে দিন।
৩২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ১২ থেকে ১৫ মিনিট বেইক করুন। উপরের দিকে একটু খয়েরি ভাব হলে বের করে ফেলুন।
ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর ছুরি দিয়ে মাঝ বরাবর কেটে কেটে দিন। আবার বেইকিং ট্রেতে রাখুন।
ওভেন ৩শ’ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় প্রিহিট করে বিস্কুটের ট্রেটি আবার বেইক করতে দিন।
এই সময় বিস্কুট বেইক হতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। তবে ১০ মিনিট পর পর ওভেন থামিয়ে উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে দেবেন।
খেয়াল রাখবেন যেন আবার পুড়ে না যায়। এক এক জনের ওভেন এক এক রকম হয়ে থেকে। তাই বেইক করার সময় খেয়াল রাখবেন।
বিস্কুটের দুই পাশেই রংটা সুন্দর হয়ে আসলেই বের করে নিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
এয়ার টাইট বাক্স অথবা বাতাস ঢুকবে না এমন বাক্স কিংবা কৌটায় রেখে অনেক দিন রেখে খেতে পারবেন।
  1. ৪. অাটার বিস্কুট
  2. উপকরনঃ
  3. 1 কাপ আটা,1/2 কাপ গুঁড়ো চিনি,1/2 কাপ মাখন,1/2চা চামচ বেকিং পাউডার,2চা চামচ দুধ
  4. পদ্ধতিঃ
  5. গুঁড়ো চিনি ও মাখন একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। আটার সঙ্গে বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন।
     
     আটার মিশ্রণটি মাখনের মিশ্রণে সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দুধ দিয়ে মেখে নিন এবং আধা ঘণ্টা ফ্রিজে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
  6. আটা মাখা টা অল্প শুকনো আঠা ছড়িয়ে বড় একটা রুটি বেলে নিয়ে কুকি কাটার দিয়ে গোল গোল করে কেটে নিন এবং এর মাঝখানে কাটা চামচ দিয়ে ফুটো বানিয়ে দিন।
  7. মাইক্রোওভেন 180 ডিগ্রীতে কনভেকশন মোডে প্রিহিট করে নিয়ে বিস্কুট গুলো 15 মিনিট বেক করে নিন 
     
     হয়ে গেলো অাপনার পছন্দের বিস্কুট।

  8.  ৫. নারিকেলের বিস্কুট

খুবই মজাদার ও মুচমুচে একটি খাবার হলো নারকেলের বিস্কুট। এটি সকালে ও বিকালে নাস্তার সঙ্গে খেতে পারেন। আবার এটি তৈরি করে অনেক দিন সংরক্ষণ করতে পারেন।
উপকরণ: নারকেল ১ কাপ পরিমাণ (ব্লেন্ডারে পানি ছাড়া পিষে নিতে হবে), চালের গুঁড়ো ২কাপ, চিনি স্বাদ মতো, স্বাদ মতো লবণ, তেল পরিমাণ মতো।  
প্রণালী: প্রথমে নারকেলের সঙ্গে একটু বেশি পরিমান চিনি মিশিয়ে মেখে নিতে হবে। চিনি আর নারকেল এমনভাবে মাখাতে হবে যেন চিনি গুলে যায়। এবার এর মধ্যে অল্প করে চালের গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। চালের গুঁড়ো ব্যবহার করার আগে চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। যাতে এর মধ্যে কোন সুজি না থাকে। চালের গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে একটা রুটি বানানোর খামির মতো বানিয়ে নিতে হবে। তারপর এগুলো ঢেকে এক ঘণ্টার মতো রেখে দিতে হবে। এবার বিস্কুট তৈরি ছাঁচে খামি থেকে অল্প অল্প ময়দা নিয়ে ছাঁচের মধ্যে দিতে হবে। এতে বিস্কুটগুলোতে খুব সুন্দর ডিজাইন হবে। এভাবেই সবগুলো বিস্কুট তৈরি করে নিতে হবে। এবার তৈরি করা বিস্কুটগুলো ভেঁজে নিন।

একটি প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে তেল ভালোভাবে গরম করতে হবে। এরপর বিস্কুটগুলো দিয়ে দিতে হবে। দুই মিনিট পর বিস্কুটগুলো উল্টে দিতে হবে। খুব সাবধানে বিস্কুটগুলো উল্টাতে হবে নাহলে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে বিস্কুটগুলো লাল লাল করে ভেঁজে নিন। খুব সুন্দর লাল রঙের আর শক্ত হলে বিস্কুটগুলো তুলে নিতে হবে। এগুলো তুলে একটি টিস্যু পেপারের উপর রাখবেন যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে যায়। এভাবেই খুব সহজে মচমচে ও সুস্বাদু নারকেলের বিস্কুট বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন। এগুলো যেকোন বাতাস প্রতিরোধক কন্টিনারে রেখে প্রায় এক মাসের মতো সংরক্ষণ করতে পারবেন।  



Saturday, May 23, 2020

ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়

 একজন চাকরি প্রার্থীর সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ
১• অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম জানাতে হবে। পরীক্ষকগন বসতে বললে বসতে হবে এবং বসতে না বললে একটু অপেক্ষা করে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে। অনুমতি ব্যতিত বসা যাবে না। বসার সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে হবে। সোজা হয়ে বসুন, পায়ের উপর পা তুলে অথবা পা দুটো আড়াআড়ি করে বসা যাবে না। হাত দুটো টেবিলের উপরে রাখা যাবে না। ভাইভা যারা নিবেন তাদের দিকে সোজাসুজি তাকান, মাটির দিকে বা ঘরের কোণ বা ছাদের দিকে তাকাবেন না।
২• নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন। আত্নবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।
৩• একজন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় অন্যদের দিকে তাকাতেও ভূলবেন না। অতি সুকৌশলে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং উত্তম গুনাবলী ও জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে পরীক্ষকগনকে ধারনা প্রদানের চেষ্টা করুন।
৪• মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন। প্রথমবারে যদি প্রশ্নটি বুঝতে না পারেন তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আর একবার প্রশ্নটি করতে বলুন।
৫• উত্তর দেয়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট করে এমনভাবে উচ্চারন করুন যেন সবাই শুনতে পায় এবং খেয়াল রাখুন উত্তরের সাথে যেন আপনার আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়। সময় নষ্ট না করে উত্তর দিন। জানা না থাকলে কালক্ষেপন না করে দ্রুত বলুন, দুঃখিত আমার জানা নেই। অগোছালো ভাবে এদিক সেদিক না ঘুরিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে হবে। যুক্তির সাথে বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৬•আচরনে কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে
না। গোমরা মুখে থাকবেন না। নিজেকে হাসি হাসি মুখ করে রাখুন। ভাইভা যারা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে ভুলেও (যদি ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে) তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধ মত জানানোর আগে বিনয়ের সাথে বলবেন- মাফ করবেন বা কিছু মনে করবেন না বলে নিন। কর্কশভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়া বাঞ্চনীয় নয়। উঁচু গলায় প্রশ্ন এলেও উচু গলায় উত্তর দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিন।
৭• মুদ্রাদোষ গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকুন। গোঁফে হাত বুলানো, চুল ঠিক করা, নাক চুলকানো, টাই ঠিক করা, গলা দিয়ে শব্দ করা বা জামা কাপড় ঠিক করবেন না। নিজে নিজে হ্যান্ডশেক করার জন্য আগে হাত বাড়াবেন না। নিয়োগকর্তাগন যদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান তাহলে মোলায়েম ভাবে করর্মদন করুন।
৮• আবেগ তাড়িত হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে না। উত্তর দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ব্যক্তি, সমষ্টি, জাতি, ধর্ম বা রাষ্ট্র সম্পর্কে কোন প্রকার অবমাননাকর বা অপ্রীতিকর কথা বেয়িয়ে না যায়।
৯• যে কোন বিষয়ে কোন অজুহাত না দেখিয়ে এবং কোন তথ্য সম্পর্কে ছলনার আশ্র্রয় না নিয়ে সততার পরিচয় দিন।
১০• নিজেকে উপস্থাপন করুন আকর্ষণীয়ভাবে। যেমনটি কোন পণ্যের দক্ষ বিক্রেতা করে থাকেন। যেমনঃ
- নিয়োগকর্তা কি কি গুণ আপনার মধ্যে খুঁজে পাবেন।
- গুন ও মূল্যগত দিক দিয়ে প্রার্থী হিসেবে আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা এবং আপনাকে নিলে নিয়োগকর্তা কিভাবে লাভবান হবেন।
- প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য আপনি কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেন।

Tuesday, February 25, 2020

★মেকানিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং চাকুরী প্রস্তুতির পূর্বকথন★


★মেকানিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং চাকুরী প্রস্তুতির পূর্বকথন★
★কিভাবে শুরু করবো? ★

শুরুতেই বিভিন্ন চাকুরী পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা নেওয়া উচিত। বিভিন্ন পরীক্ষার পূর্বের বছরের প্রশ্নগুলোর ধরণ দেখে নিলে কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তার উপর মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যাবে।এরপর একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে কোন কোন সাবজেক্টগুলো পড়া লাগবে? উক্ত সাবজেক্টগুলোর জন্য কোন কোন লেখকের বই পড়তে হবে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
★পরীক্ষা কেন্দ্রের উপর নির্ভর করবে প্রস্তুতির ধরন!★
মেকানিক্যালের অধিকাংশ চাকুরীর পরীক্ষা BUET-এ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিছু কিছু পরীক্ষা হয় MIST তে। আবার কোন কোন পরীক্ষার প্রশ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA ডিপার্টমেন্ট করে থাকে। BPSC-এর সকল পরীক্ষার প্রশ্ন BPSC-এর সিলেবাসেই হয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান BUET বা MIST ছাড়াও মাঝে মাঝে নিজেরাই পরীক্ষা নিয়ে থাকে।যেমনঃ REB, BIWTA ইত্যাদি।আবার কিছূ পরীক্ষার প্রশ্ন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ভেদে রুয়েট,কুয়েটেও হয়ে থাকে।তবে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নের ধরণ কিছুটা একই রকম।সেক্ষেত্রে ভিন্নতা বলতে কোথাও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন হয় আবার কোথাও লিখিত হয়। আবার মাঝে মাঝে REB নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত দুই-ই নেই।
★চাকুরিজীবীদের প্রস্তুতির জন্য একটু বেশি কষ্ট করতে হবে।★
মধ্যবিত্ত পরিবারের সবারই কম বেশি পাশ করেই আগে চাকুরী করার একটা তাড়া থাকে। আর সেজন্য সবারই কষ্ট করতে হয়। এটাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া উচিত। এসব ক্ষেত্রে ভালো ভাবে নিজের এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিসে যাওয়া আসার সময় ফোনে কিছু পড়াশুনা করার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফোনে বইয়ের দুই-চারটা পেজ ছবি তুলে নিয়ে বের হলে ভালো হয়। সাধারণ জ্ঞান চর্চার জন্য কিছু ওয়েব সাইট দেখা অথবা সাধারণ জ্ঞানের বই পড়া দরকার ।সেক্ষেত্রেও ফোনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা উচিত। চলাফেরার মাঝে চোখ বুলাতে থাকলে বাসায় এসে দুই-এক ঘন্টা খাতা কলম নিয়ে বসলে খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হতে থাকবে।খুবই ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে। চাকুরী করে বাসায় ফিরে খুব ক্লান্তিতে পড়ার ইচ্ছে হবে না এটাও যেমন স্বাভাবিক তেমনি নিয়মিত না পড়লে চাকুরী পরীক্ষায় ভালোও করা যাবে না সেটাও বাস্তব।
★বুয়েট পরীক্ষার ধরনঃ★
বুয়েটে অনুষ্ঠিত চাকুরীর পরীক্ষায় মোটামুটি দুইটা অংশ থাকে।একটা ডিপার্টমেন্টাল অংশ আরেকটা নন-ডিপার্টমেন্টাল অংশ।ডিপার্টমেন্টাল অংশে মূলত মেকানিক্যালের মূল বিষয়গুলোর উপর প্রশ্ন হয়ে থাকে। যেমনঃ Thermodynamics, IC Engine, Fluid Mechanics, Heat Transfer, Power Plant Engineering, Refrigeration and Air Conditioning, Strength of Materials, Theory of Machines, Engineering Mechanics, Machine Tool, Automobile Engineering ইত্যাদি।উক্ত বিষয়গুলো থেকে ছোট ছোট থিওরী, ড্রায়াগ্রাম এবং ম্যাথমেটিক্যাল প্রবলেম থাকে। সবগুলো পরীক্ষাতেই কমন বিষয় হলো ড্রয়িং।ড্রয়িংএ মূলত TOP VIEW, FRONT VIEW & RHS VIEW আঁকতে বলে মোটামুটি সময়।ননডিপার্টমেন্টাল অংশে সাধারণ জ্ঞান, সাধারণ গণিত, বাংলা, ইংরেজী, মানসিক দক্ষতা (/Analytical Ability) এইসব থাকে।
★মার্কস ডিস্ট্রিবিউশনঃ★
পরীক্ষাভেদে মার্কস ডিস্ট্রিবিউশনের ভেরিয়েশন হয়।পরীক্ষায় সর্বোমোট ১০০ অথবা ৮০ মার্কস থাকে। এর মধ্যে মোটামুটিভাবে ৬০% মার্কস থাকে ডিপার্টমেন্টাল প্রশ্নে আর বাকি মার্কস ননডিপার্টমেন্টাল প্রশ্নে। ডিপার্টমেন্টাল থেকে সাধারণত বারোটা বা চৌদ্দটা প্রশ্ন থাকে। আর এই প্রতিটা প্রশ্নের মান পাঁচ বা ছয় নম্বর করে। আর ননডিপারটমেন্টাল অংশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়। কখনো ষাটটা নৈর্ব্যক্তিক থাকে।(০.৫×৬০=৩০ নম্বর)। আবার কখনো বিশটা Analytical Ability থাকে যার মান (১×২০=২০)এবং সাথে আরো চল্লিশটা নৈর্ব্যক্তিক থাকে যার মান (০.৫×৪০=২০)। এভাবে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের তারতম্য হয়। পরীক্ষাগুলোতে মূলত দেড় ঘন্টা সময় থাকে।
★বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ★
শুরুতেই বিগত বছরের চাকুরি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে একটা ছক তৈরি করা যেতে পারে। ফলে প্রিপারেশন নিতে সুবিধা হবে। এজন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে Fundamentals of Mechanical Engineering বইটি। তবে ছক তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই শুধু মাত্র যেসব টপিক পরীক্ষায় এসেছে সেগুলো না পড়ে তার সাথে ওই রকম আরো কিছু টপিক যোগ করে পড়া উচিত। এতে করে প্রশ্নের ধরণ পরিবর্তন হলেও প্রস্তুতি অনেক ভালো থাকবে।
★ননডিপার্টমেন্টাল থেকে কিভাবে পড়বো?★
ননডিপার্টমেন্টালের জন্য কোন ধরাবাধা সিলেবাস নেই। তবে বিসিএস বা ব্যাংক জবের প্রস্তুতির জন্য যেসব বই বা নোট বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো পড়লেই মোটামুটি হয়ে যাবে। তাছাড়াও কিছু ওয়েব সাইট থেকে পড়াশুনা করা যেতে পারে। যেমনঃ indiabix.comexamveda.com ইত্যাদি।
★বুয়েটের বাইরের প্রস্তুতি কিভাবে নিবো?★ 
বুয়েটের বাইরে যেসব পরীক্ষা হয় তার অধিকাংশই MIST এর আন্ডারে অথবা DU এর IBA এর আন্ডারে হয়। MIST তে মোটামুটিভাবে বুয়েট ভিত্তক প্রস্তুতি থাকলেই হবে। আর IBA এর আন্ডারে পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে departmental MCQ থাকে আর এজন্য R.S.Khurmi এর লেখা Conventional mechanical Engineering বইটা পড়া যেতে পারে। IBA এর আন্ডারে পরীক্ষাগুলোতে ডিপার্টমেন্টাল প্রশ্ন ৫০% আর ননপিার্টমেন্টাল প্রশ্ন ৫০% হয়ে থাকে। তবে ৬০%+৪০% মার্কস ডিসট্রিবিউশনও হয়। এরজন্য IBA এর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর মত ননডিপার্টমেন্টাল প্রশ্নগুলো পড়া ভালো। সাথে বিসিএসের প্রস্তুতির মত বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞান এসব।
★প্রতিদিন কত ঘন্টা পড়বো?★
প্রতিদিন যে যত সময় দিতে পারবে তার তত দ্রুত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবে। চাকুরিজীবী হলেও প্রতিদিন দুই-এক ঘন্টা ন্যূনতম পড়াশুনা করা দরকার। আর যারা চাকুরি করেন না তাদের জন্য দিনের সর্বোচ্চ সময়টা প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
কতদিন পড়া লাগবে? কয়টা ভাইবা দেওয়া লাগবে!!
কতদিন পড়া লাগবে আর কয়টা ভাইভা দেওয়া লাগবে এই ব্যপারটা আপেক্ষিক। কারণ কারো যদি সব সাবজেক্টে খুব ভালো দখল থাকে তাহলে তার সময় কম লাগবে। তবে গড়ে প্রায় দুইবছর নিয়মিত পড়াশুনা করতে থাকলে একটা চাকুরি হবেই।অনেকের ছয় মাসেও হয়ে যেতে পারে। কয়টা ভাইভা দেওয়া লাগবে এই বিষয়টা প্রত্যেকের জন্য আলাদা। কেউ প্রথম ভাইভাতেই বাজিমাত করে আবার কেউ বিশতম তে। আমার একটা চাকুরি হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিতে আর ওটি সম্ভবত আমার নয় কি দশ তম ভাইভা ছিল।
আশা করি সবাই ভালো করে শুরু করতে পারবেন।শুভ কামনা রইল।
লেখকঃ এমরান হোসেন, অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার (বি.ও.পি.), হরিপুর পাওয়ার লিমিটেড।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বিষয়াবলী

বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো। 
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচিতি : নাম : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভ‚স্থির উপগ্রহ। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবে জেনে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। 
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি: মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
নির্মাণ : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। এটির নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠায় থ্যালেস অ্যালেনিয়া। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ওজন তিন হাজার কেজি।
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
×

চাকরির পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে যেসব প্রশ্ন হতে পারে

প্রকাশ : ১২ মে ২০১৮, ১৮:৪১ | আপডেট : ১২ মে ২০১৮, ১৮:৫৩
জায়েদ হাসান
বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো। মহাকাশ জয় হলো ছোট্ট এই দেশটির। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের খাতায় লেখা হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে।
বলছিলাম বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের কথা। এটি বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের জানার আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষা, বিসিএস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরীক্ষায়ও স্যাটেলাইটটি নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই স্যাটেলাইটটির খুঁটিনাটি বিষয় জানা থাকা দরকার। এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচিতি : নাম : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভ‚স্থির উপগ্রহ। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবে জেনে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি : মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
নির্মাণ : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। এটির নির্মাণ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠায় থ্যালেস অ্যালেনিয়া। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ওজন তিন হাজার কেজি।
অর্থায়ন : শুরুতে বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৭৬৫ কোটি টাকায় এ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে হংক সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)ব্যাংক। এটি একটি বহুজাতিক ব্যাংক।
যা আছে : এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। আর বাকি ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
কক্ষপথ কেনা : স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।
স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়। এর মধ্যে গাজীপুরের তেলীপাড়ায় টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এটিই মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের। আর রাঙ্গামাটির গ্রাউন্ড স্টেশনটি গাজীপুরে স্থাপন করা গ্রাউন্ড স্টেশনের বিকল্প।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করে মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে উড়াল দেয় ‘ফ্যালকন-৯’ রকেট।
মহাকাশে বাংলাদেশ : স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্থগিত : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রথমে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইরমার কারণে এর উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১০ মে (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের ৪২ সেকেন্ড আগে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়। স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রকেট ও পে লোড ভালোই আছে। কিন্তু কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে তা উৎক্ষেপণ করা যায়নি। পরে ব্যাকআপ ডেতে (পরের দিন) উৎক্ষেপণের দিন নির্ধারণ করা হয়।
সফল উৎক্ষেপণ : উৎক্ষেপণের তারিখ হচ্ছে-১২ মে ২০১৮। বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট।
উৎক্ষেপণ স্থান : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুবিধাসমূহ : বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এজন্য বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালুর ফলে অনেকাংশেই কমে আসবে এ ব্যয়। একই সঙ্গে দেশের টাকা থেকে যাবে দেশেই। আয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।
টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে টেরিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে।
এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-রিসার্চ, ভিডিও কনফারেন্স প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভালো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান ও অন্যান্য দেশের কাছে সেবা ভাড়া দিতে পারবে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা যাবে।
তথ্য সুত্র: ইন্টারনেট

Sunday, January 12, 2020

বিরামচিহ্নের ব্যবহার




বিরামচিহ্ন কি?
বিরাম চিহ্নের অর্থ হলো বিশ্রাম। কোন কিছু লিখা বা পড়ার সময় বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মাঝে বা শেষে কম বেশি থামতে হয়। কথা বলার সময় থেমে যাওয়া শ্বাসযন্ত্রের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বাক্যের মাঝে যেখানে সেখানে থামলে বাক্যের শ্রুতিমধুরতা ও অর্থ হয় বা হয়ে যেতে পারে। তাই বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বাক্যের কোথায় কতটুকু থামতে হবে তার একটি নিয়ম আছে এবং কতগুলো সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা এ নিয়মগুলো প্রকাশ করা হয় যা বিরামচিহ্ন/ যদিচিহ্ন/ ছেদচিহ্ন নামে পরিচিত।

বিরামচিহ্নের কাজ
১) বাক্যের অর্থ বোঝাতে সাহায্য করে।
২) ভাব, বাক্য বা বক্তব্য উচ্চারণ করে পড়তে সাহায্য করে।
৩) বাক্যের শুরু ও শেষ বোঝাতে সাহায্য করে।

বিরামচিহ্নের ব্যবহার করা হয় ২ ভাবে।
যথা:- ১) পড়ার ক্ষেত্রে ও
         ২) লিখার ক্ষেত্রে

পড়ার ক্ষেত্রে বিরামচিহ্নের ব্যবহার
ক্রমিক নং
বিরামচিহ্নের নাম
প্রকৃতি
সময় বা বিরতি কাল

কমা
,
১ সেকেন্ড বলতে যে সময় সে সময় পর্যন্ত লাগে

সেমিকমা
;
১ বলার দ্বিগুন সময় থামতে হয়

দাঁড়ি
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

প্রশ্নবোধক
?
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

বিস্ময়
!
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

কোলন
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

কোলন ড্যাস
ঃ-
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

ড্যাস
-
১ সেকেন্ড পরিমান সময় থামতে হয়

হাইফেন
-
থামার প্রয়োজন নাই

১০
লোপ চিহ্ন
`
থামার প্রয়োজন নাই

১১
উদ্ধৃতি চিহ্ন
`        
১ উচ্চারণ করতে যেটুকু সময় লাগে

১২
বন্ধনী চিহ্ন
()   {}  []
থামার প্রয়োজন নাই

১৩
তারকা চিহ্ন
*
থামার প্রয়োজন নাই


লেখার ক্ষেত্রে বিরামচিহ্নের ব্যবহার
১. কমা ( , )
ক) বাক্যের যেখানে অতি অল্প সময় বিরতির প্রয়োজন হয়।
খ) একটি বাক্যে একই জাতীয় পদ পরপর বসাতে হলে কমা ব্যবহার করা হয়। যেমন- শাপলা,       গোলাপ, জুঁই বাংলাদেশী ফুল।
গ) সম্বোধন পদ বাক্যের প্রথমে থাকলে কমা ব্যবহৃত করতে হয়। যেমন: ভাইসব, চলো খেতে যাই।
২. সেমিকমা ( ; )
সাধারণত: কোন যৌগিক বাক্যে দুই বা ততোধিক সরল বাক্যের মাঝে সেমিকমা ব্যবহৃত হয়। সজল যত ভালো খেলতে পারে; পারভেজ তত নয়।
৩. দাড়িঁ ( । )
বাক্য শেষ করতে দাঁড়ি ব্যবহার করতে হয়। যেমন: ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী।
৪. প্রশ্নবোধক চিহ্ন ( ? )
বাক্যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে। যেমন: তুমি কোন স্কুলে পড়?
৫. বিস্ময় চিহ্ন ( ! )
বাক্যে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি প্রকাশ করা হলে বাক্যে বিস্ময় চিহ্ন বসে। যেমন: আহা! কী সুন্দর দৃশ্য।
৬. কোলন ( ঃ )
একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। যেমন: ভাষা দুই প্রকারঃ সাধুভাষা ও চলিতভাষা।
৭. কোলন ড্যাস ( :- )
বাক্যে উদাহরণ দিতে হলে কোলন ড্যাস ব্যবহার করতে হয়। যেমন: বচন দুই প্রকার। যথা:- একবচন ও দুইবচন।
৮.  ড্যাস (-)
ক) কোন কাক্যে হঠাৎ ভাবধারার পরিবর্তন হলে ড্যাস ব্যবহার করতে হয়। যেমন: একি সুমন – সেদিন তুমি হঠৎ কোথায় গেলে?
খ) বক্যে কোন বিষয়ে উদাহরণ ‍দিতে ড্যাস ব্যবহার করতে হয়। যেমন: আমাদের দেশে অসেন নদী আছে – যেমন: পায়রা, ডাকাতিয়া. সুরমা ইত্যাদি।
গ) একই কথা বিভিন্ন ভাবে বোঝানোর জন্য ড্যাস ব্যবহার করা হয়। যেমন: আলু আর আলু চাইলেই পাওয়া যায়।
৯. হাইফেন ( - )
এটি হলো যোগাযোগ  বা সংযোগ চিহ্ন। সাধারণত সমাজবদ্ধ পদে অংশগুলো বিচ্ছিন্নভাবে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। অন্যভাবে, দুই বা ততোধিক পদ সমান বা অন্যভাবে এক পদে পরিনিত হলে তখন পদ সমূহের মাঝে হাইফেন ব্যবহৃত হয়। যেমন: হাট-বাজার, পথে-ঘাটে, নদী-নালা ইত্যাদি।
১০. লোপচিহ্ন ( ‘ )
বাক্যের মাঝে কোন বর্ণ লুপ্ত করতে লোপচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: যাইব-যা‘ব, করিয়া-ক‘রে ইত্যাদি।
১১. উদ্ধৃতি বা উদ্ধরণ চিহ্ন ( ‘  ‘ /  “  “ )
বক্তার কথা তার মত হুবহু বলতে চাইলে উদ্ধৃতি বা উদ্ধরণ চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। যেমন: রনি বললো, ”আমি আজ কলেজে যাব না“।
১২. বন্ধনী চিহ্ন ( ()   {}   [] )
এই চিহ্নগুলো গণিত শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে ব্যবকরণের বাক্যেও অন্তর্গত কোন অংশ নিষ্প্রয়োজন মনে হলে বা ব্যাখ্যামূলক বোঝাতে হলে এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: আগামী বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
১৩. তারকা চিহ্ন ( * )
বিশেষ কোন কিছু নির্দেশ করতে তারকা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: মেসি* একজন বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়।

বিরামচিহ্ন বাংলা ব্যকরণে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আমারা এর ব্যবহার সঠিক ভাবে করতে পারবো এবং ভাষা শ্রুতিমধুর করতে সক্ষম হব।

কম্পিউটার মনিটর কেনার আগে না জানা জরুরী

  গেমিং মনিটর কি? গেমিং মনিটর এর জন্য বলা যায় যে যত বড় মনিটর হবে তত ভালো হবে। গেমিং মনিটর কেনার সময় আরো খেয়াল রাখতে হবে রেজোলুশন, রিফ্রে...